Thursday, 07 August, 2025
Logo
বিজ্ঞাপন
যাবতীয় রড, সিমেন্ট, ইট, বালি ও কনা পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করা হয় ।। যোগাযোগ- মেসার্স হোসেন ব্রাদার্স/ জাকের ট্রেডার্স।। সোবান মঞ্জিল, বসুর হাট রোড, সিনেমা হলের পাশে, দাগনভুইয়া, ফেনী। প্রোপ্রাইটর জাকের হোসেন আলমগীর ০১৭১১-৯৬২৯২৫।। ০১৮৭১-৯৩০০০৮ মেসার্স কে আহাম্মদ এন্ড সন্স! পরিবেশক,বি এম, ডেল্টা ও ইউনি এল পি গ্যাস! যোগাযোগ- বসুরহাট রোড, সিনেমা হলের সামনে, দাগনভুইয়া, ফেনী- ০১৭১১-৩০৪৮৭৩, ০১৮৩৯-৩৯৭১৩০! দাগনভুইয়া ফিজিওথেরাপী সেন্টার, একটি আধুনিক বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস ও মুখ বাঁকা চিকিৎসা কেন্দ্র। ঠিকানা- সোবহান মঞ্জিল, বসুর হাট রোড। (সাবেক ঝর্না সিনেমা হলের পাশে)। দাগনভুইয়া, ফেনী। 01818-019684, 01721-910110

দাগনভূঞা বিএনপির বিজয় মিছিলে কাজী স্বপনের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলার অভিযোগ : আহত ১৫

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে


মিছিল ও হামলার ছবি

বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে গনঅভ্যুত্থানের এক বছর ও শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আনন্দে, দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আয়োজনে বিজয় র্যালিতে কাজী স্বপন গ্রুপের অতর্কিত হামলার অভিযোগ করেছেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আকবর হোসেন।

৫ আগষ্ট (মঙ্গলবার) ফ্যাসিস্ট সরকার পালিয়ে যাওয়া ও গনঅভ্যুত্থানের ১ বছর পূর্তি উপলক্ষে সকাল ১০ টায় দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপি একটি বিজয় র্যালি বের করে, মিছিলটি দাগনভূঞা পৌরসভা পদক্ষিন করে যখন আহবায়ক আকবর হোসেনের বাড়ির দিকে রওয়ানা হয় তখন পিছন থেকে কিছু দুষ্কৃতকারী মিছিলে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে আহত হয় অন্তত ১৫ জন।


এই বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আকবর হোসেন মিছিল পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় ঘোষনা অনুযায়ী সকাল ১০ টায় শান্তি পূর্ন ভাবে বিজয় র্যালি নিয়ে বাজার পদক্ষিন করে ফিরে আসার সময় সাবেক পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুর রহমান স্বপনের নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ জন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসী নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের মহিলা নেত্রী সহ প্রায় ১৫ জন আহত হন।

তিনি আরো বলেন বাংলাদেশে বিএনপি ও নির্বাচন নিয়ে যে ষড়যন্ত্র চলছে তারই অংশ হিসাবে বহিস্কৃত কিছু বিএনপি নামধারী নেতা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পূনর্বাসন করে এসব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। ইচ্ছে করলে তাদের ৬০ থেকে ৭০ জনের বিরুদ্ধে আমরাও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারতাম কিন্তু আমরা বিএনপির হাই কমান্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজনীতি করি তাই আমি আমার নেতা কর্মিদের যে কোন উস্কানিতে শান্ত থাকার আহবান জানিয়ে পরিস্থিতি শান্ত রাখি।

হামলার অভিযোগের বিষয়ে দাগনভূঞা পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুর রহমান স্বপন পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ত িনি আকবর হোসেন ফেনী মহিপালের ছাত্র জনতা হত্যায় জড়িত কিছু আওয়ামী ক্যাডার এনে দাগনভূঞাতে বিএনপির ব্যানারে বিজয় মিছিল করছে। এটা কোন ভাবেই বিএনপির একজন নেতা হিসাবে মেনে নিতে পারি না। যাদের গুলি করে শহীদ করেছে আহত করেছে, যারা হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত তাদের বিএনপি তে জায়গা দিয়ে মিছিলের নামে শহীদের সাথে প্রতারনা করে বিএনপি কে কলংকিত করেছে আকবর হোসেন।

সাবেক রামনগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল হাসেম বাহাদূর এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আকবর হোসেন কে দায়ী করে বলেন, এটা অভিভাবক হিসাবে ওনার ব্যার্থতা, গত কাল রাত থেকে আজকের অনুষ্ঠানের বিষয়ে দাগনভূঞা থানার ওসি বাজারের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে  উভয়কে আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে সমন্বয় করে যে কোন কর্মসূচি পালন করার অনুরোধ করেন। কিন্তু দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির  অভিভাবক হিসাবে তিনি আমাদের সাথে কোন সমন্বয় না করাতে আজকের এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য কমিটি ঘোষণা কে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন থেকে দাগনভূঞা বিএনপির রাজনীতি মূলত ২ ভাগে বিভক্ত। এর আগেও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক যত বারই কোন কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করেছেন ততবারই ২য় বা পদ বঞ্চিত বিদ্রোহী গ্রুপের বাধার মুখে পড়েছেন।

পুলিশ সূত্রে জানানো হয় হামলার ঘটনার পর বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ সতর্ক অবস্থায় আছে। যে কোন পক্ষ আইনশৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড করবে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যাবস্থা গ্রহন করবে।

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত