প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে
দাগনভূঞা (ফেনী) সদর ইউনিয়ন জগতপুরের আবদুল হামিদ মিয়ার বাড়িতে গৃহবধূ আইরিন আক্তারের উপর ভাসুরের বৌ ও মেয়েদের বিরুদ্ধে হামলা ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে গত ১০ ডিসেম্বর আইরিন আক্তারের পিতা আবুল কালাম বাদী হয়ে দাগনভূঞা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী আইরিন আক্তার জানান, আমার স্বামী প্রবাসে থাকেন, বিয়ের আড়াই বছরের মধ্যে ৩ বার আমার ভাসুরের পরামর্শে আমার জা এবং মেয়েরা মিলে আমার উপর শারীরিক নির্যাতন করে আসছে। গত ১০ ডিসেম্বর ঘর নির্মানের মাটি সরানোকে কেন্দ্র করে আমার বড় জা ও ২ মেয়ে লোহার শাবল, বাঁশ ও কাট দিয়ে আমার উপর উপুর্যুপরি আঘাত করে। এতে আমি বেহুশ অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে প্রতিবেশীরা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। ওরা আমাকে বার বার মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে।
থানায় অভিযোগ দায়ের কারি ভুক্তভোগী আইরিন আক্তারের পিতা আবুল কালাম বলেন, আমার মেয়ের স্বামী মোঃ সুমন পেশায় একজন প্রবাসী। আমার মেয়ের স্বামী প্রবাসে থাকায় বিবাদীরা পরস্পর যোগসাজশে আমার মেয়েকে সুমনের সাথে সংসার করিতে দিবে না মর্মে সদা সর্বদা অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ সহ শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। বিবাদিরা বিগত দিনেও আমার মেয়েকে এলোপাথাড়ি মারধর করিয়া শারীরিক জখম করে। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা সামাজিক আত্ম সম্মানের ভয়ে এবং আমার মেয়ের স্বামী প্রবাসে থাকায় বিবাদীদের অন্যায় অত্যাচারের প্রতিবাদ করার সাহস পাইতেছি না। আমাদের সরলতার সুযোগে এবং আমার মেয়ের স্বামী বাড়ীতে না থাকায় বিবাদীরা আমার মেয়েকে তাহার স্বামীর সংসার হইতে তাড়ানোর পায়তারা করিয়া আমার মেয়ের বসত ঘর নির্মানে বাধা প্রদান করিয়া আমার মেয়ের উপর অমানুষিক নির্যাতন করে আসছে।
পূর্বে আমার মেয়ে
র উপর নির্যাতন করায় থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ উভয় পক্ষকে ডেকে আপোষ মিমাংসা করে দে। এবং তারা ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করবেনা বলে অঙ্গিকার করে।
হামলা ও নির্যাতনের বিষয়ে জানতে অভিযোগে উল্লেখিত বিবাদীদের মোবাইলে কল দিলে, মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে দাগনভূঞা থানার ইনচার্জ ফয়জুল আজিম নোমান জানান, অভিযোগের তদন্ত চলমান, তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।