Thursday, 17 July, 2025
Logo
বিজ্ঞাপন
যাবতীয় রড, সিমেন্ট, ইট, বালি ও কনা পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করা হয় ।। যোগাযোগ- মেসার্স হোসেন ব্রাদার্স/ জাকের ট্রেডার্স।। সোবান মঞ্জিল, বসুর হাট রোড, সিনেমা হলের পাশে, দাগনভুইয়া, ফেনী। প্রোপ্রাইটর জাকের হোসেন আলমগীর ০১৭১১-৯৬২৯২৫।। ০১৮৭১-৯৩০০০৮ মেসার্স কে আহাম্মদ এন্ড সন্স! পরিবেশক,বি এম, ডেল্টা ও ইউনি এল পি গ্যাস! যোগাযোগ- বসুরহাট রোড, সিনেমা হলের সামনে, দাগনভুইয়া, ফেনী- ০১৭১১-৩০৪৮৭৩, ০১৮৩৯-৩৯৭১৩০! দাগনভুইয়া ফিজিওথেরাপী সেন্টার, একটি আধুনিক বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস ও মুখ বাঁকা চিকিৎসা কেন্দ্র। ঠিকানা- সোবহান মঞ্জিল, বসুর হাট রোড। (সাবেক ঝর্না সিনেমা হলের পাশে)। দাগনভুইয়া, ফেনী। 01818-019684, 01721-910110

ঝিকরগাছায় ভিজিডির চাল বিতরণে ওজনে কম দেওয়ায় বিক্ষোভ, বিতরণ বন্ধ ঘোষণা

তরিকুল ইসলাম, বেনাপোল:

প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে


ছবি- প্রতিনিধি

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নে ভিজিডির চাল বিতরণে কালে বস্তায় ওজনে কম থাকার অভিযোগে বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

জানাগেছে,সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, এ কর্মসূচির আওতায় প্রত্যেক উপকারভোগী নারীকে ৩০ কেজির বস্তায় ছয় মাসের জন্য ছয় বস্তা চাল দেওয়া হচ্ছিলো । কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, চালের বস্তাগুলোর প্রতিটিতে ১ কেজি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫ কেজি পর্যন্ত কম রয়েছে। কোন বস্তায় ২৫ কেজি, কোনো বস্তায় ২৬ বা ২৭ কেজি করে চাল পাওয়া গেছে।

রবিবার (১৩ জুলাই) সকাল থেকে চাল বিতরণ শুরু হলে উপকারভোগীরা বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং সরাসরি অভিযোগ করেন। একপর্যায়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা। পরে এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) নিজে এসে তাৎক্ষণিকভাবে চাল বিতরণ বন্ধ করে দেয়।

উপকারভোগী রেখা খাতুন বলেন, আমাদের জন্য সরকার ৩০ কেজি করে চাল দেয়। কিন্তু এখানে ২৫-২৬ কেজি করে দিচ্ছে। গরিবের চাল এটা। এতেও যদি কম দেয় তাহলে এই চাল দিয়ে কীভাবে সংসার চলবে?

নাজমা খাতুন বলেন, প্রত্যেকবারই চাল কম দেয়, এবার সহ্য করতে পারিনি। গরিবের হক এভাবে কেটে নেওয়া চলবে না।

লাভলী খাতুন জানান, এখানে কেউ চোর, কেউ গাফিলতিকারী—সব মিলে চাল চুরি হচ্ছে। আমরা প্রতিবাদ করেছি, যাতে ভবিষ্যতে আর এমন না হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ভুপালী সরকার বলেন,অভিযোগ পাওয়ার পর আমি নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়ে চালের বস্তাগুলো পরিদর্শন করি। বাস্তবেই চালের ওজন কিছু কিছু বস্তায় ক ম পাওয়া যাওয়ার সত্যতা পেয়েছি। তাৎক্ষণিকভাবে বিতরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খাদ্য কর্মকর্তাকে সব বস্তাগুলো ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছি।পরিবর্তিতে সঠিক ভাবে ৩০ কেজি বস্তায় যে চাল আমাদেরকে বুঝিয়ে দিবে এবং আমরা সেটা বুঝে নেব।বুঝে পাওয়ার পরে উপকারভোগির চাল বিতরন করবো বলে তিনি জানান।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই শংকরপুর ইউনিয়নে সরকারি সহায়তা কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়ম চলে আসছে। একটি অসাধু ঠিকাদারি সিন্ডিকেট এবং কিছু দায়িত্বপ্রাপ্তের গাফিলতির কারণেই বারবার এমন ঘটনা ঘটছে বলে জানান তারা।

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত